Uncategorized

মুলাদীতে অভিযোগের শেষ নেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েলের বিরুদ্ধে

  প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬:৫৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৪ ব্যবসায়ীর প্রায় ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ৩১ শতাংশ জমি রাতের আধারে বালু ফেলে দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার ও তার সহযোগী জাহিদ আকনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তোভোগী ৪ ব্যবসায়ী মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তারা হলেন, মুলাদী পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরডিক্রী এলাকার শহিদুল সিকদার, আবু জাহের মোল্লা, কাজী শাহিন ও শাওন হাওলাদার।

 

অভিযুক্তরা হলেন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার, চরডিক্রী এলাকার বাসিন্দা আলতাফ আকন ও তার ছেলে জাহিদ আকন।

ব্যবসায়ী শহিদুল সিকদার, আবু জাহের মোল্লা, কাজী শাহিন ও শাওন হাওলাদার অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে আহের উদ্দীনের ছেলে নাজির সরদারের কাছ থেকে ৩১ শতাংশ জমি ক্রয় করে তারা ভোগ দখল করে আসছেন। ২০১৭ সালে আলতাফ আকন নিজেকে ওই জমির মালিক দাবি করেন। এরপর তিনি ওই জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের চেস্টা করেন।

এ ঘটনায় ৪ জনের পক্ষে শহিদুল সিকদার বাদী হয়ে বরিশাল জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে সকল ধরনের স্থাপনা নির্মানে নিষেধাজ্ঞা জারীর নির্দেশ দেন। আলতাফ আকন ও তার লোকজন এরপরও কয়েকবার জোরপূর্বক জমি দখলের চেস্টা করেন। তাবে আলতাফ আকন ও তার লোকজন ব্যর্থ হন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে মুলাদী পৌরশহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরডিক্রী এলাকার ওই জমির মূল্য ৬২ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা।

এ কারনে ওই জমির ওপর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাওলাদারের নজর পড়ে। সম্প্রতি জুয়েল হাওলাদারের ৩১ শতাংশের মধ্যে ২১ শতাংশ জমি মালিক বলে দাবি করেন।

গত ২৫ এপ্রিল রাতের আধারে জুয়েল হাওলাদার ও আলতাফ আকনের ছেলে জাহিদ আকন লোকজন নিয়ে ওই জমিতে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট শুরু করেন।

ব্যবসায়ীরা আরও বলে, তারা বাধা দেওয়ার পরও ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট ও সিমেন্টের পিলার নির্মাণ করে তারা জমির সীমানা দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় ২৬ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

আলতাফ আকন জানান, বিরোধীয় ওই ৩১ শতাংশ জমির মধ্যে আমার কোন অংশ নেই। ৩১ শতাংশ জমি থেকে আমি এক শতাংশ জমিও দাবি করিনি। তবে শুনেছি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েলের সেখানে জমি আছে । সে তার জমি বালু ফেলে ভরাট করছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার বলেন, ৩১ শতাংশের মধ্যে ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে আমি ২১ শতাংশ জমির মালিক। ওই জমি নিচু। তাই বালু ফেলে উচু করছিলাম। গত ২৬ এপ্রিল থানা থেকে কাজ বন্ধ রখার জন্য বলা হয়।

তাই সেখানে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া ওই জমি যারা নিজেদের বলে দাবি করছেন তাদেরকে দলিল ও কাগজ পত্র দেখাতে বলেছিলাম । তারা জমির কোন কাগজ বা দলিল দেখাতে পারেননি।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, দু’পক্ষকেই আদালতের নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। জমি বিরোধ নিয়ে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা বা সংঘাত না ঘটে সেজন্য দু’পক্ষকেই সতর্ক করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content