প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:১৯:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
গৌরনদী প্রতিনিধিঃ পৌর নির্বাচনে অবস্থান ধরে রাখতে নিজের
লোকদের হাসপাতালে ভর্তি করে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের
মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান
কাউন্সিলর ও উটপাখি মার্কার প্রার্থীর খাইরুল খানের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার ২ নং ওয়াডের্র।
দায়ের করা মামলায় দুই কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি দেখানো হলেও
হাসপাতালে গিয়ে তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এ দিকে মামলার বিষয়ে ডালিম মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী হাকিম খান
সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী তার
কর্মীদের হয়রানি করার জন্যই শুধু শুধু নিজের লোকজনকে হাসপাতালে
ভর্তি করে আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাসুত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) পৌরসভার
২ নং ওয়ার্ডের বড় কসবা এলাকায় ডালিম মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী
হাকিম খান তার সমর্থকদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচনী
এলাকা বড় কসবা আবুল বেপারীর বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে উটপাখি
মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী খাইরুল খানের সমর্থক রাজীব হাওলাদার
উটপাখি মার্কার ৩/৪ জন সমর্থক নিয়ে ডালিম মার্কার সমর্থকদের
ভোট চাইতে বাধা প্রদান করেন।
এ নিয়ে ডালিম মার্কার সমর্থক রুবেল খানের সঙ্গে উটপাখি মার্কার
সমর্থক রাজীব হাওলাদারের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় রাজীব হাওলাদার
প্রতিপক্ষ সমর্থক রুবেল খানকে ধাক্কা দিলে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের
মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর এর জের ধরে উভয় প্রার্থী
সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয় পক্ষের কিছু
সমর্থকরা আহত হয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ বিষয়ে ওই দিন রাতেই উটপাখি মার্কার সমর্থক রাসেদ হাওলাদার
গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় খাইরুল খানের
সমর্থক রাজীব খান ও মিনাজ বেপারীকে গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি
দেখানো হলেও হাসপাতালে গিয়ে তার (খাইরুল খান) সমর্থকদের
কাউকেই হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ মুকুল খানম বলেন, “খাইরুল খানের দুইজন
সমর্থক রাজীব হাওলাদার ও মিনাজ বেপারী গত ১৯ জানুয়ারী রাতে ভর্তি
হয় এবং এদের মধ্যে মিনাজ বেপারী পরদিন সকালে নাম কেটে চলে গেলেও
রাজীব বেপারী এখনও পুরুষ ওয়ার্ডের ৪৩ নং বেডে ভর্তি আছেন।”
রাজীব বেপারীর পাশর্^বর্তী বেডে থাকা গরমগল গ্রামের মৃত. রহিম
খানের পুত্র সুলতান আহম্মেদ খান ও মিয়ার চর গ্রামের আলফাজ হাওলাদারের
পুত্র মোঃ স্বপন হাওলাদার জানান, মোটামুটি আঘাত নিয়ে রাজীব
হাওলাদার ও মিনাজ বেপারী হাসপাতালে ভর্তি হন মিনাজ পরদিন চলে
গেলেও রাজিব থেকে যায়। এবং রাজীবও ২২ তারিখ বিকালে চলে যান।