Uncategorized

বড় গরুর প্রতিযোগিতা নয়,পশুত্বকে বিসর্জন দেয়াই কোরবানি

  প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০১৯ , ৩:২২:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নাঈম ইসলাম:

কোরবানি’ অর্থ সান্নিধ্য লাভের উপায়,ত্যাগ করা,নিজের পশুত্বকে বিসর্জন দেয়া।আসলে তাহলে কি প্রকৃতভাবে কোরবানি দিচ্ছি আমরা!বর্তমানে কোরবানি দেয়া হচ্ছে প্রতিযোগিতা করে বড় গরু কেনা।কোরবানি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুরু নিয়ে সেলফি তুলে পোস্ট দেয়া।কোরবানি হচ্ছে গরুর গোশত খাওয়া।অথচ ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়, স্বপ্নে আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এবং নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলের সম্মতিতে হজরত ইবরাহিম কোরবানি করার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি পুত্র হজরত ইসমাইলকে নিয়ে মিনার একটি নির্জন স্থানে যান এবং তার চোখ বেঁধে মাটিতে শুইয়ে দেন। অতঃপর কোরবানি করার জন্য পুত্রের গলায় ছুরি চালান। কিন্তু আল্লাহ তার নির্দেশ পালনের প্রতি পিতা এবং পুত্রের অপরিসীম ত্যাগ স্বীকারে খুশি হন এবং হজরত ইসমাইলকে রক্ষা করেন। আর আল্লাহর তরফ থেকে পাঠানো একটি দুম্বাকে হজরত ইসমাইলের পরিবর্তে কোরবানি করা হয়।সেই থেকে ইসলাম ধর্মে কোরবানি প্রথার প্রচলন হয়।প্রিয় কোন জিনিস কে কোরবানি দিয়ে আল্লাহকে খুশি করাই হচ্ছে কোরবানি।গত ১২ আগষ্ট পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পবিত্র এই দিনে আল্লাহকে রাজিখুশি করার উদ্দেশ্য অনেকে কোরবানি দিয়েছেন।কোরবানি হচ্ছে পশুত্বকে বিসর্জন দেয়া।কোরবানির গোশত ফ্রিজে রেখে খাওয়ানা,গরীবের হককে গরীবদের ফিরিয়ে দেয়াই হচ্ছে কোরবানী।হয়তো উপরের ইতিহাসটা সকলেই জানেন।যেখকনে আল্লাহকে খুশি করার জন্য প্রিয় পুত্রকেও কোরবানি দিতে প্রস্তুত। আর সেই কোরবানির তাৎপর্য বুঝেও কোরবানির নামে প্রতিযোগিতা, গোশত খাওয়া,সেলফি তোলা বাদ দিয়ে আসুন সকলে নিজের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহকে রাজিখুশি করার মধ্য দিয়ে প্রানী উৎসর্গ করি।

আরও খবর

Sponsered content